স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যে কয়জন মানুষ তাদের মেধা ও মনন দিয়ে দেশের আইন প্রাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বলে সুশীল সমাজের একজন আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন ড. শাহদীন মালিক। “কবিতার সাথে” অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমার সুযোগ হয়েছিল এই গুণী […]

আইন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র: ড. শাহদীন মালিক

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যে কয়জন মানুষ তাদের মেধা ও মনন দিয়ে দেশের আইন প্রাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বলে সুশীল সমাজের একজন আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন ড. শাহদীন মালিক। “কবিতার সাথে” অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমার সুযোগ হয়েছিল এই গুণী ব্যক্তির সাথে তাঁর জীবনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে এবং দেশ নিয়ে তাঁর বিভিন্ন ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার।

দেশে পড়াশোনার গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে। দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হয় তাঁর চাকরি জীবন। এরপর তিনি একে একে বিচরন করেছেন আইন বিষয়ক বিভিন্ন শাখা প্রশাখায়। পেশাগত জীবনের শুরুর কথা বলতে গিয়ে ড. শাহদীন মালিক বেশ মজা করেই বলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় বিএনপি এবং আওয়ামিলীগ উভয় আমলেই তাঁকে বিপরীত দলের একনিষ্ঠ কর্মী মনে করতো এবং এজন্যই তাঁকে ঢাবির শিক্ষকতা ছেড়ে আসতে হয়েছিল। তবে এটিকে তিনি আশীর্বাদ হিসেবে নিয়েছেন, কারন এরপরেই তিনি আইনের আরও বড় জগতটাকে চিনতে পেরেছেন। তখন শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি বার কাউন্সিলে কাজ করেছেন কিছুদিন, তারপর ড. কামালের পরামর্শে বিএলএএসটি (BLAST) – এ যোগ দিয়ে কর্মরত ছিলেন ৬-৭ বছর। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক সংস্থায় আইনি পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন বহু বছর এবং দীর্ঘদিন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল’ তে। ২০০৩-০৪ সালের দিকে এসেছে প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সে এসে তিনি ওকালতি পেশা শুরু করেছেন এবং ধীরে ধীরে এ পেশার একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম বর্তমানে কোর্টের আইনজীবী ড. মালিক দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একজন বোর্ড অব ট্রাস্টি।

আমেরিকার ৫৯ তম নির্বাচন পরবর্তী সামসাময়িক সময়ে হওয়া ড. মালিকের সাথে আমার আলোচনার প্রথমেই উঠে আসে নির্বাচন পরবর্তী বাইডেন সরকারের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে। তিনি বলেন, এরপূর্বে সিনিয়র জর্জ বুশ রাজনীতিতে বহুদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসে তৎকালীন সময়ের দুরবস্থা কাটিয়ে মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি আশাবাদী যে, দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে থেকে এবং সর্বশেষ ওবামা প্রশাসনের সাথে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অভিজ্ঞ জো বাইডেনও ট্রাম্পের তৈরি করা বিভাজিত আমেরিকাকে একত্রিত করতে পারবেন।

দেশের বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করাকে কঠিন বলে মনে করেন তিনি। কিছুটা হাস্যরসাত্মকভাবে অতীত ইতিহাসকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালির ইতিহাসে কখনও সুন্নী মুসলিমরা রাজ্য শাসন করেন নাই বা জমিদার ছিলেন না। নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সহ সকল মুসলিম শাসকরা ছিলেন শিয়া গোত্রের মুসলিম। ফলে, বর্তমান সময়ে এসে সুন্নী মুসলিমরা ক্ষমতার স্বাদ পেলেই অতীতের ক্ষমতা না পাওয়ার ক্ষত থেকে নিজেদেরকে এখন জমিদার ভাবতে শুরু করেন এবং সেভাবেই প্রজাদের মুখ বন্ধ রাখার বিভিন্ন জমিদারী আচরন করেন। জাতীয় নির্বাচনের ইস্যুতে তিনি মনে করেন স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি, জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়ে দেশের অভিজ্ঞ ও পারদর্শী ব্যক্তিদের পরামর্শ নেয়া হয়না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশে প্রথম সেক্রেটারিয়েটের বাইরের মানুষদের পরামর্শ নেয়ার জন্য কমিটি করা হয়েছে এবং এমন ব্যবস্থা অন্যান্য সকল বিষয়ে থাকা দরকার। উগান্ডা ও রুয়ান্ডার মত দেশের উদাহারন টেনে তিনি জানান, স্বল্পোন্নত এ দেশগুলো যদি নিজেদের দেশের বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, বাংলাদেশ কেন পারবে না?

দেশের দুর্নীতি রোধে দুর্নীতি দমন কমিশনে আইন বিষয়ক জ্ঞান নেই এমন লোকবল নেয়ার সমালোচনা করেন তিনি। তিনি জানান, আইনজীবীরা বহু বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তির পক্ষে উকিল হয়ে কোর্টে দাড়ান। অন্যদিকে, দুদকের কর্মকর্তাদের আইনের বিষয়ে পারদর্শিতা না থাকায় মামলা সাজানোতে বিভিন্ন ঘাটতি থাকে এবং সহজেই অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সামনে দুর্নীতির মামলায় সুবিধা করতে পারেন না। তিনি পরামর্শ দেন যে দুদকে যেন আইন বিষয়ে পারদর্শী এমন ব্যক্তিদেরকেও নিয়োগ দেয়া হয়। পাশাপাশি, দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে শাহদীন মালিক জানান, যে টাকা বাইরে পাচার হয়ে গেছে তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তাঁর মতে, আগামী কয়েক বছরে বর্তমান আইনের বড় রকমের পরিবর্তন না হলে এক হাজার টাকা পাচার হলে সর্বোচ্চ পনের টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমাদের দেশে যেমন বাইরের কোনো দেশের অতিথি আসলে আমরা তাদেরকে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করি, তেমনি বাইরের দেশেও আমাদের দেশের কেউ গেলে অনুরোধ করা হয় বলে জানান তিনি। ফলে, দেশের ব্যবসায়ীরা বাইরে বিনিয়োগ করবেই এবং এটাই বর্তমান সময়ের বাস্তবতা বলে মনে করেন তিনি। তাই, বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়েই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শাহদীন মালিক শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে জানান, বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে গার্মেন্টস খাতে শিশুশ্রম বন্ধ হয়েছে। তবে, আনঅফিশিয়াল গার্মেন্টসগুলোতে এখনও শিশুশ্রম আছে বলে মনে করেন তিনি। মি. মালিক জানান, বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কর্মসূচী যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্কুলে বিনামূল্যে খাবার প্রদান ইত্যাদি শিশুদের পড়ালেখা করানোর প্রতিবন্ধকতাকে দুর করেছে। আইন করে শিশুশ্রম বন্ধ করা যাবেনা, বরং এমন উদ্যোগগুলোই এটি বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি। প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, যে মানুষগুলো জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন, তাদের থেকে নির্দিষ্ট খরচের থেকে কয়েক গুন বেশি টাকা নিয়ে তা ভোগ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা এবং যে খরচ করে তারা বিদেশে যান তা তাদের আয় থেকে তোলা কঠিন। এ মধ্যস্বত্বভোগীদের সাথে রাজনৈতিক মদদ আছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন যে, দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব এবং বিশ্বের শ্রম বাজারে আমাদের শ্রমিকরা পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়া আর কোনো দক্ষ পদে কাজ করতে যেতে পারেনা, যা হতাশাজনক।

দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি ২০০৭-০৮ এর তত্বাবধায়ক সরকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ঐ সরকারই এ বিভাগকে স্বাধীন করার বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এরপর আর কোনো সরকার এ বিষয়ে সদিচ্ছা দেখায়নি। এমনকি আইনজীবীরাই নিজেদেরকে নির্দিষ্ট দলের কেউ ভাবতে পছন্দ করেন বলে জানান তিনি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে তাই সরকার ও আইনজীবী দুই পক্ষকেই সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। বিচারপতি সিনহার বিষয়ে তিনি জানান, ব্যক্তি হিসেবে তিনি সবসময়ই বিচারকদের স্বাধীনভাবে মত ও রায় প্রকাশের জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর করুন পরিনতি হয়েছে যা অন্যান্য বিচারপতিদেরকে স্বাধীন বিচারবিভাগ নিশ্চিতে ভূমিকা পালনে নিরুৎসাহিত করবে। সুবিচারের বিষয়ে তিনি বলেন দেশে রাজনৈতিক মামলাগুলো ছাড়া অন্যন্য মামলাগুলো সঠিকভাবেই নিষ্পত্তি হচ্ছে। তাঁর মতে, যেসব মামলায় অনেক সময় লাগে তা অন্যান্য দেশেও লাগে, এটি আলাদা কিছু নয়। তিনি মনে করেন, দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মামলার রায় হচ্ছে, কিন্তু মিডিয়ায় কতোটি মামলার রায় আসেনি তা নিয়ে রিপোর্ট হলেও কয়টির রায় হলো তা নিয়ে রিপোর্ট হয়না।

দেশ ও জাতির বিভিন্ন জনগুরুত্বপুর্ণ আলোচনা শেষে আমরা আবার ফিরে এলাম শাহদীন মালিকের ব্যক্তি জীবনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা থেকে কোন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সবচেয়ে বেশি শিখতে পেরেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে ৭০ দশকের তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছেন। তাঁর মতে ব্রিটিশ ধারায় পড়াশোনা করার ফলে আমাদের মত দেশগুলো উচ্চমাধ্যমিকের পরে শিক্ষার্থীদেরকে একমূখী শিক্ষা প্রদানে করা হয়, ফলে অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে তাদের জ্ঞান থাকেনা। এক্ষেত্রে মস্কোর আইনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের বিষয়ের ওপর পড়ানো জ্ঞান তাঁকে জানতে ও শিখতে সাহায্য করেছে। তবে আমেরিকাতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করা অনেক কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি, একই বাসায় থাকলেও তখন তাঁর স্ত্রীর সাথে অনেক কম কম দেখা হতো। কিভাবে আইন পেশাকে নিজের স্বপ্ন হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটি কখনও তাঁর স্বপ্ন ছিলোনা এবং এমনিই কিভাবে যেন হয়ে গেল তিনি জানেন না। তবে ২০০৩-০৪ সালের দিকে এসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজ করার পর হঠাৎই তিনি উকিল হিসেবে প্র্যাকটিস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন এবং ৫০ বছর বয়সে তিনি এ পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন।

দেশের সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে শাহদীন মালিক দেশকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। তিনি মনে করেন গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন হয়না, আর হলেও তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের উন্নয়ন হয়, সামগ্রিক হয়না। তিনি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন যেখানে একে অন্যের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবে, সবার বাক-স্বাধীনতা থাকবে, এবং এর মধ্য দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। মি. মালিক জানান, আমেরিকাতে সার্বজনিন ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে ১৯৭৬ সালে জিমি কার্টারের নির্বাচনে, অন্যদিকে আমাদের এই ভু-খন্ডে আমরা ১৯৭০ এর নির্বাচনেই সার্বজনিন ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছি এবং এখনও তা চর্চা করে যাচ্ছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এভাবে একদিন দেশে সঠিক গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। একইভাবে বিচার বিভাগের কথা উলেখ করে জানান, আমাদের এ ভূ-খন্ডে আমরা ইউরোপের বহু দেশের আগে থেকেই বিচারালয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করে আসছি এবং একই ধারায় একটি স্থিতিশীল প্রক্রিয়ায় তা অনুশীলন করে যাচ্ছি যা অন্যান্য অনেক উন্নত রাষ্ট্রেও নেই। তাই, এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী তিনি।

গুণী ব্যক্তি হিসেবে আইন পেশার পাশাপাশি শাহদীন মালিক বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন গবেষনাপত্র প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে কিভাবে মনে রাখবে এ কথার জবাবে তিনি নিজেকে লেখক হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। দৈনিক পত্রিকায় কলাম লেখার পাশাপাশি সামনের দিকে লেখালেখি করে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।