ডিজিটাল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রযুক্তির সাথে তাল মেলানো সবচেয়ে জরুরী। বর্তমান বিশ্বে একজন মানুষ যত বেশি প্রযুক্তিগত বিদ্যায় পারদর্শী হবে সে তত বেশি খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে। মানুষ শুধু কর্মক্ষেত্রে নয় জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সফল হোক এমন স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন একদল মানুষ, কাজ করছেন নিজের […]

একজন স্বপ্নদ্রষ্টা: ড. ফয়সাল কাদের

ডিজিটাল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রযুক্তির সাথে তাল মেলানো সবচেয়ে জরুরী। বর্তমান বিশ্বে একজন মানুষ যত বেশি প্রযুক্তিগত বিদ্যায় পারদর্শী হবে সে তত বেশি খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে। মানুষ শুধু কর্মক্ষেত্রে নয় জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সফল হোক এমন স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন একদল মানুষ, কাজ করছেন নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি অন্যের স্বপ্ন পূরনে। যারা কেবল নিজের সফলতা নয়, নিজের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করছেন। আজকে ঠিক এমন একজন মানুষের কথা বলবো যার স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া। যিনি চান তার দেশের প্রতিটা শিক্ষার্থী পড়াশোনায় ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠুক। যিনি একাধারে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও সফল উদ্যোক্তা। বলছি বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. ফয়সাল কাদেরের কথা।

ড. ফয়সাল কাদের ঢাকার সেন্ট জোসেফে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক এবং জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড থেকে সাইবার সিকিউরিটি এবং ডেটা সায়েন্সে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা সায়েন্স, হিউম্যান কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন, প্রক্রিয়া অপ্টিমাইজেশনের পাশাপাশি হেলথ আইটিতেও তার একাডেমিক আগ্রহ রয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে তার রয়েছে অসংখ্য প্রকাশনা। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডে তাদের কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মেশিন লার্নিং, ডেটা সাইন্স ও সাইবার সিকিউরিটির শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি TISTA বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্পোরেশন এবং বর্তমান সংস্থা Technuf এর সহ প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের AABEA সেন্ট্রালের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ড. ফয়সাল কাদের শুধুমাত্র যে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দিনপাত করেন বিষয়টি এমন নয়। বাংলা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতির উপর তার অগাধ ভালোবাসা রয়েছে। তাইতো, শত ব্যস্ততার মাঝেও সপ্তাহে ছুটির দিনগুলো একান্তই তার ব্যক্তিগত। ছুটির দিনগুলোতে তিনি গান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, চর্চা করেন তার প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। সংস্কৃতিমনা পরিবারের সন্তান ফয়সাল কাদের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠেছেন। তার বড় বোন নতুন কুঁড়িতে প্রথম হয়েছিলেন, ছায়ানটেও প্রথম হয়েছিলেন। ৩-৪ বছর বয়স থেকেই ফয়সাল কাদেরের গানের হাতেখড়ি হয়। ছায়ানটে ভর্তি হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যাওয়ার কারনে ছায়ানটে ইতি টানতে হয়েছে তার। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শেখা বন্ধ হলেও বিদেশে গিয়েও গানের চর্চা অব্যাহত রাখেন তিনি।

ড.ফয়সাল কাদের প্রচন্ড কর্মব্যস্ত একজন মানুষ। মাঝেমাঝে তার কাছে মনে হয় ২৪ ঘন্টায় দিন না হয়ে ৩৬ ঘন্টা হলে হয়তো ভালো হতো। তবে মানুষের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে এবং সেই স্বপ্নকে আগলে রাখার জন্য শত কষ্টকেও কষ্ট বলে মনে হয়না তার। তাইতো রাত দিনের হিসেব করেন না তিনি। অনেক চেষ্টায় গড়ে তুলেছেন ‘Technuf’ নামে নিজের কোম্পানি। নাম শুনলেই নিজের দেশকে অনুভব করা যায়। নামকরনের সার্থকতা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ভালো নাম পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাছাড়া তিনি চাচ্ছিলেন তার কোম্পানির সাথে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা থাকুক। আবার যেহেতু এটি প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান সেহেতু নাম শুনে যাতে বুঝা যায় কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান। তাই তিনি টেকনোলজির টেক শব্দটি ব্যাবহার করেন। টেকনোলজি থেকে টেক শব্দটি গ্রহন করার পর তার মাথায় বাংলাদেশের এই জায়গাটির নাম আসলো যা ব্যবহার করলে তার দুটো উদ্যেশ্যই পূরণ হবে বলে মনে করেন তিনি। তাই তার কোম্পানিটির নাম ‘টেকনাফ’।

তিনি Stands for American Association of Engineering and Architects -AABEA নামক সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে এটি কী, এর উদ্যেশ্য কী, বাংলাদেশের উন্নয়নে এর কোন ভূমিকা আছে কি না। তিনি জানান, এটি হলো প্রবাসী প্রকৌশলীদের একটি সংগঠন যা প্রায় ৩৮ বছর আগে আনুষ্ঠানিক রুপ লাভ করেছিল। এর উদ্যেশ্য বাংলাদেশ থেকে যারা পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান তাদেরকে সাহায্য করা। অনেকেই দেশ থেকে অনেক কিছু শিখে আসেন না যেমন কিভাবে কোথাও আবেদন করতে হয়, কিভাবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কয়, কোথায় গেলে তারা ভালো সুবিধা পাবে এই উৎসগুলোর সন্ধান দেয়া। এছাড়াও পরিবার পরিজন ছেড়ে আসা মানুষগুলোকে একটু আগলে রাখার কাজও করে থাকে এ সংগঠনটি। তবে শুধু প্রকৌশলীই নন বাংলাদেশ থেকে আসা যেকোনো সেক্টরের ছাত্রছাত্রীদের জন্যও সংগঠনটি কিছু কাজ করে থাকে বলে জানান তিনি। যেমন -প্রতিটা ফিল্ডের জন্য কম্পিউটার কোর্স খুবই জরুরী। অনেক শিক্ষার্থীর কম্পিউটারে দক্ষতা না থাকায় হিমশিম খান বলে জানান তিনি। আর তাদের জন্য এ সংগঠন থেকে কম্পিউটার লিটারেসি প্রোগাম পরিচালনা করা হয়। শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রোগ্রামগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করে কম্পিউটারের বেসিক কোর্সগুলো করানো হয়। যেমন- কিভাবে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হয়, কিভাবে ডকুমেন্ট তৈরি করতে হয়, এক্সেল এর কাজ, এমনকি যে যেই ফিল্ডে আসে সেই ফিল্ড সম্পর্কিত কাজও শেখানো হয়। আর এসব কাজ সব বিনামূল্যে করানো হয় বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, এসব কাজের অর্থায়ন সম্পূর্ণটাই আসে নিজেদের অনুদান এবং সদস্যপদের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বিদেশে টিউশন ফী অনেক বেশি, সব শিক্ষার্থীদের সকল খরচ বহন করার সামর্থ নাই। এমন অবস্থায় অনেকেই অর্থ চিন্তা করতে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষতি করে ফেলেন, তাই শিক্ষার্থীদেরকে যেন এমন অবস্থায় না পড়তে হয় সেজন্যই এসব কোর্সের বাইরে তারা শিক্ষার্থীদেরকে অর্থনৈতিক সহায়তাও করে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা কিভাবে এ সংগঠনের খোঁজ পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, AABEA.Org লিখে সার্চ করলেই তাদের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ১১ টা স্টেটেই তাদের উপস্থিতি আছে। প্রতিটা স্টেটেই তারা সাহায্য করে থাকে। শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও যেকোনো মানবিক ডাকে সংগঠনটি সাড়া দেয় বলে তিনি জানান। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে সংগঠনটি সাহায্য করেন, এমনকি কোভিড-১৯ এর সময়ও অনেক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রতি দুই বছর পরপর সংগঠনটির বাৎসরিক সম্মেলন হয়। সেখানে পুরো আমেরিকার ইঞ্জিনিয়াররা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, সংগঠনটির ইয়ুথ প্রোগ্রাম আছে বলেও জানান তিনি। যেখানে প্রতিটা কলেজে কলেজে কিভাবে একজন সফল মানুষ হওয়া যায়, কিভাবে চাকরির আবেদন করতে হয়, কিভাবে সুন্দরভাবে ইন্টারভিও দিতে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো শেখানো সহ ক্যারিয়ার নিয়ে আরও অনেক প্রাথমিক ধারণাগুলো দেয়া হয়। ক্যারিয়ার বিষয়ক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সংগঠনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুধু প্রবাসী বাংলাদেশীদের নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নেও সংগঠনটির ভূমিকা আছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশ থেকে ১১ টি আইটি কোম্পানি সংগঠনটির সম্মেলনে যোগদান করেছে। এছাড়া, পদ্মা সেতু ও যমুনা সেতু নির্মানেও সংগঠনটির ভূমিকা আছে বলে জানান তিনি। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ও ডিটিআই – এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংগঠনটি সরাসরি কাজ করে এবং সংগঠনটির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচুর প্রজেক্ট হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

যেহেতু তিনি ও তার পরিবার প্রবাসে থাকেন এবং তার মতো অসংখ্য মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে প্রবাসে বসবাস করছেন, সেক্ষেত্রে প্রবাসী জীবনে তাদের সাথে নতুন প্রজন্মের কী ধরণের পরিবর্তন পাওয়া যায় – এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগ খুব পাওয়ারফুল একটি যুগ। এখানে খুব সহজেই একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে। পূর্ব ও পশ্চিমের সংস্কৃতি খুব সহজেই একে অপরের সাথে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারছে বলে মনে করেন তিনি। দুই সংস্কৃতির গানের একটা নতুন ফিউশন সৃষ্টি হচ্ছে। বাচ্চারা ধীরে ধীরে নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হলেও মূলধারার সংস্কৃতি দেখে দেখে তাদের উপরও প্রভাব পড়ছে। এক্ষেত্রে তিনি তার নিজের ছেলের উদাহরণ দেন- তিনি জানান তার ছেলে ছোট থেকেই গান শেখে, গিটার বাজিয়ে গান করে। যেহেতু বিদেশে বড় হয়েছে সেহেতু সে ইংরেজি গান করে। তবে তিনি এটা লক্ষ করেন ইংরেজি গান হলেও সেখানে বাংলা সংস্কৃতির একটা ছাপ রয়েছে। কিছু কিছু গানে বাংলা ও ইংরেজির ফিউশন সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি। আর এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন তিনি। তার কাছে মনে হয়, একটি সীমানাহীন পৃথিবী তৈরি হচ্ছে সংস্কৃতির এমব মিশ্রণের ফলে। নতুন প্রজন্মকে নিয়ে তার অনেক আশা কেননা তারা পড়াশোনায় মাল্টিটাস্কিং বলে তিনি মনে করেন। যেকোনো দেশ, জাতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে তারা বড় হচ্ছে। তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বেশি বলে দাবি করেন তিনি। তবে শিকড় যাতে মজবুত থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত বলে জানান তিনি। তিনি মনে করেন, শিকড় মজবুতের জন্য নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

ড. ফয়সাল কাদেরের এতো কিছু করার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে, কাদের অনুপ্রেরণায় তিনি এতদূর পাড়ি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সবার প্রথমে তার বাবা মায়ের কথা বলেন। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণা ছাড়া পড়াশোনায় এতদূর আশা সম্ভব ছিলো না। আর তার মা সংস্কৃতিমনা হওয়ায় তিনি ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতিমনা ছিলেন বলে জানান। আর গানের প্রতি আগ্রহটাও পরিবারের থেকেই পাওয়া। বোন, মা, খালা তাদের দেখে দেখে তিনি গান শেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেন।

তবে তিনি জানান, শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার অনুপ্রেরণা পান সেন্ট যোসেফের ব্রাদারদের থেকে। তাদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর আত্মত্যাগ দেখে তারও মনে হয়েছে ব্রাদাররা যদি নিজের দেশ ছেড়ে, মাটি ছেড়ে একটা ভীনদেশে এসে বছরের পর বছর শিক্ষকতা করে কাটিয়ে দিতে পারেন তবে তিনিও পারবেন।

প্রশ্ন করেছিলাম আগামী ১০ বছর পর ড. ফয়সাল কাদের নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান? জবাবে তিনি বলেন, ছোটবেলায় তার ইচ্ছা ছিলো ভালো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া, শিক্ষকতা করা। তারপর যখন একদিন শিক্ষকতা করার সুযোগ আসলো তখন তিনি তা হাতছাড়া করেননি। ইঞ্জিনিয়ারদের পিএইচডি করার দরকার হয় না, তাও তিনি করেছেন। তার স্বপ্ন বয়স হলে তিনি প্রফেসর হবেন। শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি থাকবেন। ১০ বছর পর নিজেকে শিক্ষক হিসেবেই দেখতে চান তিনি। অফুরন্ত স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছেন এই স্বপ্নবাজ মানুষটি। সকলের কল্যাণের জন্য কাজ করে যেতে