জীবনানন্দ দাশ যেমন বনলতা সেনের কাছে দু-দন্ড শান্তি পেয়েছিলেন ঠিক তেমনিভাবে এক ক্লান্ত প্রাণকে দু-দন্ড শান্তি দিতে পারে প্রকৃতি। প্রকৃতি কাউকে কখনো ফিরিয়ে দেয় না, ক্লান্ত প্রাণ থেকে শুরু করে উষ্ণ হৃদয় সকল মানুষের প্রতি প্রকৃতির আচরণ সমান। প্রকৃতি খুব যত্ন করে আগলে রাখে আমাদের। কিন্তু আমরা অনেক সময় প্রকৃতির এই অবদান স্বীকার করি না। […]

প্রকৃতিবন্ধু: মুকিত মজুমদার বাবু

জীবনানন্দ দাশ যেমন বনলতা সেনের কাছে দু-দন্ড শান্তি পেয়েছিলেন ঠিক তেমনিভাবে এক ক্লান্ত প্রাণকে দু-দন্ড শান্তি দিতে পারে প্রকৃতি। প্রকৃতি কাউকে কখনো ফিরিয়ে দেয় না, ক্লান্ত প্রাণ থেকে শুরু করে উষ্ণ হৃদয় সকল মানুষের প্রতি প্রকৃতির আচরণ সমান। প্রকৃতি খুব যত্ন করে আগলে রাখে আমাদের। কিন্তু আমরা অনেক সময় প্রকৃতির এই অবদান স্বীকার করি না। অনেক সময় প্রকৃতির প্রতি হয়ে উঠি নির্মম। তবে অনেকেই আছেন প্রকৃতির খুব কাছের যারা চায় প্রকৃতি তার নিজের মতো করে আমাদের সারাজীবন আগলে রাখুক। আজ এমনি একজন মানুষকে উপস্থাপন করবো যিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়েও তাঁর ব্যবসায়িক পরিচয় ছাপিয়ে দেশে-বিদেশে প্রকৃতিবন্ধু নামেই বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি হলেন প্রকৃতির কাছের মানুষ মুকিত মজুমদার বাবু।

মুকিত মজুমদার বাবু একাধারে ইমপ্রেস গ্রুপ ও চ্যানেল আই এর সহ-সভাপতি। ইনসেপ্টার মতো বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সত্ত্বাধিকারী। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যে পরিচয়টির জন্য তিনি আলোচিত ও সকলের কাছে সবচেয়ে বেশি নন্দিত সেটি হলো ‘প্রকৃতি ও জীবন’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ পর্যন্ত তিনি প্রকৃতি ও জীবনের উপর নির্মান করেছেন প্রায় ৩৪৫ এরও অধিক প্রামাণ্যচিত্র।

প্রকৃতি অন্ত:প্রাণ মানুষটি ১৯৫৫ সালে ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমা এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশের টানে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন ১৯৮৪ সালে। মুকিত মজুমদার বাবুর সাথে কথা বলছিলাম করোনা মহামারির সময়টাতে। করোনার সময়ে অনেক ধরণের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছে। যেহেতু তিনি ইনসেপ্টার সত্ত্বাধিকারী সেহেতু তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন ছিলো এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিষয়ে ইনসেপ্টার ভুমিকা কী ছিলো? তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড এ বাংলাদেশে একটি ওষুধ কোম্পানি আছে আর সেটি হলো ইনসেপ্টা। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি বিগত ১০ বছর ধরে টায়ফয়েড, কলেরা ও র্যাবিস বা জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করে আসছে। কিন্তু কোভিড-১৯ যেহেতু রোগের নতুন একটি মাত্রা ছিলো, তাই এর ভ্যাকসিনের ব্যাপারে নানাবিধ বিধি-নিষেধ ছিল এবং এজন্য তারা চাইলেও তৈরি করতে পারতেন না। বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন তাদের কাছ থেকে কলেরার ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি। করোনার সময় রাশিয়াও তাদেরকে ভ্যাকসিনের জন্য বলেছিলো, কিন্তু কিছু বিধি নিষেধের জন্য তাদের পক্ষে এ নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, প্রথমত, ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন, দ্বিতীয়ত, তাদেরকে ওষুধ তৈরির ফর্মুলা দিতে হবে। তাঁর মতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ফর্মুলা পাওয়াও অতো সহজসাধ্য কোন বিষয় নয়। ভ্যাকসিন আবিস্কার ও প্রক্রিয়াজাতকারি প্রতিষ্ঠান ফাইজার পণ্য বাজারজাত করার শুরুর দিকেই তাদেরকে ফর্মুলা দিবে না বলে জানান তিনি। এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিলো প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ফ্রী এম্পুল আছে কিন্তু সেগুলো কবে পাবে সেসবেরও তখন নিশ্চয়তা ছিলো না।

এতো জনবহুল একটা দেশে সকল মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব কি না, যদি সম্ভব হয় তবে কতদিন লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনসংখ্যা ১৭/১৮ যাই হোকনা কেন, এটি খুব দূরুহ ব্যাপার নয়। তবে এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। দিন কিংবা মাসের মাঝে সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হতোনা বলে জানিয়েছেন তিনি এবং এটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের মতো কাজ করতে পারে বলে তাঁর অভিমত। উদাহারন হিসেবে তিনি ছোটবেলায় দেয়া চিকেন পক্সের ভ্যাকসিনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তখন ধারাবাহিক ভাবে ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদান করতে হতো এবং আমরা এখনও দেখি ছোট বাচ্চাদের পোলিওর টিকা খাওয়ানো হয়। আর করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করাও সহজ বিষয় নয় বলে জানান তিনি। ফাইজারকে মাইনাস ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার রাখতে হয় যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নতুন কোন ফর্মুলা নিয়ে আসে যেটা হয়তো মাইনাস ১৫ কিংবা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে, তাহলে বাংলাদেশের জন্য সংরক্ষণ করা সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। তাছাড়া শুধু ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেই হবে না, এখানে অনেকগুলো বিষয় থাকে যেমন-কারা আগে পাবে, কিভাবে পুরো দেশে বিরতণ করবে ইত্যাদি। তাই এটি আসলেই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

সোঁদামাটির গন্ধ আর প্রকৃতির কাছে বড় হওয়া মহৎ ব্যক্তি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে, প্রকৃতি নিয়ে কাজ করতে, প্রকৃতির সুরক্ষায় অন্যদের উৎসাহিত করতে সদা তৎপর। তাইতো গত এক দশকেরও অধিক সময় ধরে ‘প্রকৃতি ও জীবন’ অনুষ্ঠানের সাথে তার পথচলা। কেন প্রকৃতি ও জীবনের কথা মাথায় আসলো এবং এই বিশাল একটা সময় ধরে পরিচালনা করা অনুষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা কেমন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই চিন্তাটি হঠাৎ করেই তাঁর মাথায় আসে। তিনি চ্যানেল আইতে ‘পারফরম্যান্স এওয়্যার্ড’ নামে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এই অনুষ্ঠান শুরুর আগে ডকুমেন্টারি করা হতো। সেই ডকুমেন্টারিতে এক এক সময় এক এক বিষয় উঠে আসতো। ২০০৮ সালে আরব আমিরাততের জীববৈচিত্র নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি করেন তিনি। ডকুমেন্টারিটি করার সময় তিনি লক্ষ্য করেন, ওরা একটি দেশকে সবুজ করার জন্য গাছ লাগাচ্ছে, ঘাস লাগাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে পশুপাখি নিয়ে আসছে। তখন তাঁর কেমন একটা অনুভব হলো যে একটা দেশে কিচ্ছু নেই, তপ্ত মরুভূমিকে শীতল করার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছে তারা অথচ যেখানে আমাদের দেশ এতো ছোট একটি দেশ কিন্তু জীববৈচিত্রে ভরপুর কিন্তু সেখানে আমাদের অযত্নে, অবহেলায় আমরা সব শেষ করে ফেলছি। সেখান থেকেই মূলত তাঁর ভাবনা শুরু। ২০০৮ সালে শেষের দিকে দেশে ফিরে তিনি আনিস সাহেবের সাথে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং আনিস সাহেবকে দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভিডিও চিত্র ধারণ করান। তার ভিডিও টিম ৬ মাস দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে ১৫২ টা মিনি ভিডিও ধারণ করেন এবং ভিডিওগুলো দেখার পর মনে হলো আমাদের দেশে অনেক কিছু আছে। ২০০৯ সালে প্রকৃতি ও জীবনের যাত্রা শুরু এবং ২০১০ সালে প্রথম পর্ব টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। ‘ভোঁদড়ের ভোরে’ পর্বটি সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে তাঁর স্বপ্নের প্রকৃতি ও জীবন। শুরুর দিক দিয়ে খুব ভালো সাড়া পাওয়া যায়নি এবং দর্শকরা তখন তেমন আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি একটি নিয়মের আওতায় চলে এসেছে। ২৫ জন কর্মী কাজ করে এই টিমে। শুধু টেলিভিশনে সম্প্রচার হয় এমন নয়, এই অনুষ্ঠান নিয়ে গবেষনা হয়, ফিল্ড ওয়ার্ক হয় এবং নানা ধরনের পাবলিকেশন হয় এবং জনাব মুকিতের তত্ত্বাবধানে ‘প্রকৃতি বার্তা’ নামে ত্রৈমাসিক একটি পত্রিকাও প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি প্রকৃতি নিয়ে নানা ধরণের বার্তা প্রেরণ করছে এবং আমাদের সমাজের কাছে প্রকৃতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। শুধু তাই নয়, এই টিম বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যায়, যেখানে ইন্টারনেটের সুবিধা নেই, যেখানে পৌঁয়াছনি কোন আধুনিকতার ছোঁয়া, যেখানে নেই কোন টেলিভিশন। সেখানের স্কুলে স্কুলে গিয়ে তারা তাদের অনুষ্ঠান দেখায়, ডকুমেন্টারি দেখায়, তাদের সাথে প্রকৃতির কথা বলে, প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখায়।

মুকিত মজুমদার বাবু নিয়মিত লেখালেখি করেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলোকে অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে চাচ্ছেন। পত্রিকা সম্পাদনা ছাড়াও প্রতিবছর বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর প্রকৃতি বিষয়ক গ্রন্থ। তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থের মাঝে রয়েছে, ‘আমার রূপসী বাংলা,আমার দেশ আমার প্রকৃতি,আমার অনেক ঋণ আছে’ ইত্যাদি। তাছড়া,তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে আয়োজন করছেন ব্যতিক্রমী ‘প্রকৃতিমেলা’।এর পাশাপাশি প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন থেকে নির্মাণ করছেন বিভিন্ন টক শো,ডকুমেন্টারি ও টেলিফিল্ম। প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া হচ্ছে প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক।

আমাদের দেশে প্রায় ১৫০০ নদী ছিলো এখন কমে প্রায় ৭০০ হয়েছে। একসময় নদীগুলোও ছিলো প্রাকৃতিক পরিবেশের অভয়ারণ্য।কিন্তু বর্তমানে এসব দেখা যায় না। এর কারন কী এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটার একটা নির্দিষ্ট কোন কারন নেই। জলবায়ুর উষ্ণায়ন সবচেয়ে বড় কারন হিসেবে তিনি মানবসৃষ্ট কারনকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, আমরা বনভূমি উজার করে দিচ্ছি।আমরা নিজেদের স্বার্থে নদী ভরাট করছি।আমরা উন্নয়নের জন্য ঘর বাড়ি নির্মাণ করছি কিন্তু আমাদের পরিবেশের উন্নয়ন দেখছি না আমরা। তিনি বলেন, আমরা যদি পরিবেশকে ভালো না রাখি তাহলে কে রাখবে? আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হচ্ছে। শিল্প কারখানা ও শিল্পায়নে ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে কিন্তু উন্নতির ধারাবাহিকতায় শহরগুলোতে চাপ সৃষ্টি হয়েছে যার প্রভাব আমরা দেখতে পাই। এক্ষেত্রে প্রকৃত ও জীবনের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ছোটবেলায় আমাদের ধর্মের শিক্ষা দেওয়া হয়, যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলতে শিক্ষা দেওয়া হয়, ঝগড়া না করতে শিক্ষা দেওয়া হয় কিন্তু গাছের ঢাল ভাঙ্গা যাবে না এই শিক্ষা দেওয়া হয় না, ব্যাঙ এর গায়ে ঢিল ছুঁড়া যাবে না এই শিক্ষা দেওয়া হয় না। কারন আমরা নিজেরাও আমাদের জীবনে প্রকৃতির অবদান জানিনা। যদি প্রকৃতির অবদানগুলো ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের শেখানো যায় তাহলেই আমাদের প্রকৃতি রক্ষা করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, তাঁর এই প্রকৃতি ও জীবন অনুষ্ঠানটি মানুষকে প্রকৃতির অবদান সম্পর্কে জানানোর জন্যই।

আমাদের দেশে সুন্দর সুন্দর দ্বীপ রয়েছে এবং এ দ্বীপগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দর ভারসাম্য রয়েছে। রয়েছে সুন্দর প্রবাল দ্বীপ যেখানে সামুদ্রিক প্রানীর বসবাসের জন্য রয়েছে উপযুক্ত ব্যাবস্থা কিন্তু এই দ্বীপ্পগুলো আবার আমাদের অর্থনীতির বিশাল ভান্ডার। যেমন-সেইন্টমার্টিন, নিঝুম দ্বীপ, সোনাদিয়া ইত্যাদি। একদিকে অর্থনীতি অন্যদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ এই দুইটা মিলে প্রাকৃতিক ভারসাম্যে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সকল সমস্যার মূল সমস্যা হলো জনসংখ্যা। জনসংখ্যার বিষয়টিকে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় না আনতে পারলে, জনগনকে কোন নিয়মের মধ্যে না ফেলতে পারলে সকল ধরনের প্রকৃতির উপরই প্রভাব পড়বে। তবে সমস্যা থাকলে সমাধান অবশ্যই আছে বলে তিনি মনে করেন। জনগনের সচেতনতা আর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগই পারে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে।

প্রকৃতিপ্রেমী এই ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ বিষয়ক বহুমাত্রিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ফেবানা এ্যাওয়ার্ড-২০১৬, জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২৫, ঢাকা আহছানিয়া মিশন চাঁদ সুলতানা পুরষ্কার -২০১৫, বিজনেস এক্সিলেন্সি এ্যাওয়ার্ড সিঙ্গাপুর ২০১৪, বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফন কনজারভেশন -২০১৩, এইচএসবিসি দ্যা ডেইলি স্টার ক্লাইমেট এ্যাওয়ার্ড -২০১২ সহ আরও বিভিন্ন পুরুষ্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। স্বপ্ন পূরণের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান প্রকৃতি ও জীবনকে রক্ষা করার আর্জি।