ফেরদৌস আহমেদএকজনজনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র বুকের ভিতর আগুন।এরপর১৯৯৮ সালে তিনি খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত হঠাৎ বৃষ্টি ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশপাশি তিনি মডেলিং, টিভি উপস্থাপনা ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার পাঁচবার ফেরদৌসআহমেদকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। উৎসব হোক আর না হোক টিভি পর্দা, ইউটিউব ও ওটিটিতে উজ্জল উপস্থিতি থাকে তার। মা কিংবা ভাবিদের চরিত্রে নির্মাতাদের ভরসার জায়গার মনিরা মিঠু থাকেন তালিকার শীর্ষে।হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত টেলিভিশন নাটক “অপেনটি বায়োস্কোপ” দিয়ে মনিরা মিঠুর অভিনয় জীবনের শুরু ।হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত এ নাটকে জাহিদ হাসানের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে মনিরা মিঠু যাত্রা শুরু করেন। এর পর হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত বেশিরভাগ নাটকেই অভিনয় করেছেন। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় নীল তোয়ালে তার প্রথম ধারাবাহিক নাটক। চন্দ্রকথা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। পরবর্তীকালে তিনি আমার আছে জল, গহীনে শব্দ, জোনাকির আলো, পোড়ামন, দহন, বিশ্বসুন্দরী প্রভৃতি চরিত্রে অভিনয় করে তার দক্ষতার পরিচয় দেন।সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালে এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের সমালোচক শাখায় সেরা টেলিভিশন অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।
মনিরা মিঠুর করা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফ্যামিলি ক্রাইসিসের গুরুত্বপূর্ণ এবং দর্শকপ্রিয় চরিত্র শেফালি খালার মৃত্যু ছুয়ে যায় সব দর্শকের অন্তর। মনিরা মিঠুর কাছে এই ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ করার মতন না। যেদিন ফ্যামিলি ক্রাইসিসের শেষ পর্ব প্রচারিত হয় সেদিন তিনি একটি নাটকের শ্যুটিং এ নেটওয়ার্ক এর বাইরে ছিলেন। শ্যুটিং শেষে ফেরার পথে তিমি অজস্রে ফোন পেতে থাকেন। সেই নাটকের প্রোডাকশন হাউসের মালিকের কান্না তাকে আপ্লুত করে তোলে। মনিরা মিঠু বলেন, তিনি নাকি বাস্তবতা আর অভিনয় গুলিয়ে ফেলেছিলেন। অপরিচিত নাম্বারের ফোন, দর্শকের কান্না এবং ভালবাসা সব কিছুরই সাক্ষী হন মনিরা মিঠু এই চরিত্রের কল্যাণে।
মনিরা মিঠুর অভিনয়ে আসা হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে৷ ওপেনটি বায়োস্কোপ নাটকের একটি চরিত্রের জন্য হুমায়ুন আহমেদ নতুন মুখ খুঁজছিলেন। এই নতুন মুখ সন্ধানের দায়িত্ব পরে মিঠুর বড় ভাই চ্যালেঞ্জারের উপর। লাজুক মিঠুর কথা তিনিই প্রথম হুমায়ুন আহমেদকে বলেন৷ সেই থেকে শুরু, এরপর থেকেই নিয়মিত কাজ করে চলছেন তিনি। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনেক প্রস্তাব পান মিঠু। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চরিত্রাভিনেত্রীরা অনেক সময় অসম্মানজনক পারিশ্রমিক পান। সে কারণে অনেক সময় চলচ্চিত্রে অভিনয় করা হয়ে ওঠে না তার।
মাত্র ৯ মাস বয়সে মাকে হারান মনিরা মিঠু। তার বেড়ে ওঠা তার দাদি এবং ফুফুর কাছে। সে কারণে মিঠু বয়স্ক চরিত্রে অভিনয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন বলে জানান। এ কারণেই এত অল্প বয়সেই তিনি একজন দর্শকপ্রিয় চরিত্রাভিনেত্রী হয়ে উঠতে পেরেছেন । তার কাছে এই চরিত্রগুলো অনেক বেশি মজাদার ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মূল চরিত্র দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু না হওয়ার জন্য। তার মতে, এমন কিছু হলে তিনি আজকের জনপ্রিয়তা কখনোই হয়ত পেতেন না।
ফ্যামিলি ক্রাইসিস নাটকে পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ অভিনেত্রী মনিরা মিঠুকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। যার কারণেই শেফালী খালা চরিত্রটি এত সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন মিঠু। চরিত্রটি নেতিবাচক হওয়ায় শুরুতে অভিনয় করতে কিছুটা দোটানায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত রাজি হন এবং নাটকের সেট থেকে ভাল লাগার শুরু হয় আর শেষ পর্যন্ত চরিত্রটি হয় তুমুল দর্শকপ্রিয়।
পূর্বে দেখা গেছে ডলি জহুর তার করা নীলু ভাবি চরত্রের কারণে জনপ্রিয়তা পেলেও এরপর আর কখনোই সেই চরিত্রটি থেকে বের হতে পারেননি। মনিরা মিঠুর ক্ষেত্রে তিনিও এমন কিছু আশংকা করেন কি না এ বিষয়ে মিঠুর অভিমত হল, ভয় কিছুটা থাকলেও তিনি তার কাজগুলো নিয়ে আশাবাদী। তিনি একই সাথে দর্শকপ্রিয় দুটি ধারাবাহিক ফ্যামিলি ক্রাইসিসে শেফালী খালা এবং ব্যাচেলর পয়েন্ট এ শিরিন চরিত্রে অভিনয় করেন। দুটো চরিত্রই দর্শকপ্রিয়তা পায় যদিও চরিত্রগুলো ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। এছাড়াও মোস্তফা কামাল রাজের রোমিও জুলিয়েট নাটকে তিনি শিক্ষিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এরপর অ্যাওয়ার্ড বা মানিমেশিন এরপর নাটকগুলো পর পর করেছেন। নাটকগুলোতে তার চরিত্রগুলর মধ্যে কোনোপ্রকার মিল ছিল না। এ থেকে মিঠুর বিশ্বাস তিনি নির্দিষ্ট কোনো একটি চরিত্রে হারিয়ে যাবেন না।
প্রয়াত নাজমা আনোয়ার, ফেরদৌসী মজুমদার, শমী কায়সার, বিপাশা হায়াত বা হালের জাকিয়া বারী মম, রুনা খান, সাবিলা নূর এবং মেহজাবিন চৌধুরী অভিনেত্রী হিসেবে ভীষণ প্রিয় মনিরা মিঠুর। আর অভিনেতাদের মাঝে হুমায়ুন ফরিদী, আসাদুজ্জামান নূর, আলী জাকের, আবুল খায়ের, জাহিদ হাসান এবং এখনকার মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শতাব্দী ওয়াদুদ, অপূর্ব বা আফরান নিশো তার পছন্দের৷
টেলিভিশন নাটক বা সিনেমার বাইরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে অভিযোগ আছে যে পরিচিত কিছু মুখের বাইরে অন্যদের খুব একটা সুযোগ দেওয়া হয় না ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলোয়। মনিরা মিঠু নিজেও এ ব্যাপারটিকে আংশিক সত্য মনে করেন৷ শতাব্দী ওয়াদুদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শ্যামল মওলা, অপূর্ব, মেহজাবিন বা নিশোর মত অভিনেতারা এখানে বেশি গুরুত্ব পান। তবে তারা নিজেদের চেষ্টায় এবং দক্ষতায় এই অবস্থানে আসতে পেরেছেন। এছাড়া নতুনরাও সুযোগ পাচ্ছেন এবং সাধ্যমত নিজেদের মেলে ধরছেন বলেই তার বিশ্বাস।
অভিনয় জীবনে মনিরা মিঠুর অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা ঘটে হুমায়ুন আহমেদের বৃক্ষমানব নাটকের সেটে। সে সময়ে মনিরা মিঠুর শ্যুটিং বা অভিনয় নিয়ে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না । নাটকের একটি দৃশ্যে তার অভিনয় দেখে স্বয়ং হুমায়ুন আহমেদ চোখের পানি ফেলেন। এই ঘটনাটি মিঠুর জীবনের স্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটি। এছাড়াও সাপ নিয়ে অভিনয় বা অনেক উঁচু থেকে গড়িয়ে পুকুরে পরে যাওয়ার মত ঘটনাগুলোও তার কাছে স্মরনীয়।
জীবন নিয়ে খুব বেশি স্বপ্ন তিনি দেখেন না। তিনি আদতে একজন স্বপ্নহীন ছন্নছাড়া গোছের মানুষ। তবে তার একান্ত বাসনা তিনি যেন সুস্থ থেকে চিরবিদায় নিতে পারেন। আর তার বিদায়ের পর দুই সন্তানের যেন কখনো অভাব না হয় এটিই তার স্বপ্ন। চরিত্রগুলোর জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করলেও যখন দর্শকদের ভালবাসা অর্জন করতে পারেন তখন সব ত্যাগ বা সংগ্রাম ভুলে নতুন কাজের আগ্রহ জন্মায় মিঠুর।
১৯৯৮ সালে ‘বোধ’ নাটক দিয়ে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন চয়নিকা চৌধুরী। এরপর ২০০১ সালে ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে নির্মাতার খাতায় নাম লেখান। গেল বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি তার ক্যারিয়ারের ২০ বছর পার করেন। এই ২০ বছরের ক্যারিয়ারে চয়নিকার নির্মিত এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০টির মতো নাটক বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে।বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে তিনিই সবথেকে বেশি নাটক ও ধারাবাহিক নির্মাণ করেছেন, যা এখন পর্যন্ত তার দখলে। নির্মাতা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চয়নিকা চৌধুরী বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- ২০০৩ সালে কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০৪ সালে কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সেরা সমালোচক পুরস্কার। এ ছাড়া ২০১০ সালে চাড়ুনীড়ম ইনস্টিটিউট অব অ্যাক্টিং অ্যান্ড রিসার্চ থেকে বিশেষ পুরস্কার পান তিনি।
আড্ডার শুরুতেই চয়নিকা চৌধুরী তার নিজের করোনা অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন। তিনি করোনা মহামারীকে অদৃশ্য শত্রুর সাথে তুলনা করেন যার সাথে বুদ্ধি এবং সচেতনতা দিয়ে লড়াই করতে হয় । এর সাথে নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সময়গুলোতে তার সন্তানদের ভালবাসা নিয়েও বলেন।
চয়নিকা চৌধুরী তার নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে গল্পের শুরুতে বলেন ,তার স্বপ্ন ছিল একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হওয়ার। সংগীত বা গানের পরিবেশেই তার বেড়ে ওঠা। রবীন্দ্র সংগীতে তার আদর্শ হিসেবে মিতা হক,রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা,সঞ্জিতা খাতুনদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।পাশাপাশিতারমাএরঅনুপ্রেরণারকথাওবিশেষভাবেস্মরণকরেন। শান্তিনিকেতনথেকেফেরারপরমাত্র১৯বছর২দিনবয়সেতারবিয়েহয়। এরপরপরিবারকেসময়দিতেগিয়েআরশান্তিনিকেতনেফেরাহয়নিতার।
তুষার দত্ত বাংলাদেশের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব অল্প বয়সে দুর্গাপুরের পণ্ডিত বিমল মিত্রের কাছ থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিখতে শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমিতে যোগদান করেছিলেন। তিনি কিরানা ঘরানায় পণ্ডিত এ.কানন ও পণ্ডিত অরুন ভাদুরীর এর কাছ থেকে তালিম নিয়েছিলেন ।তিনি পন্ডীত কে জি গিন্ডে ও সুনীল বোস এর কাছ থেকে আগ্রার ঘরানার প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। শুভ্রা গুহ এর কাছে প্রশিক্ষণ ও নিয়েছিলেন।তুষারকে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় বৃত্তিতে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে, ভারতের সকল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আয়োজিত খেয়াল প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। মুম্বাই সুর শ্রীনগর সমসদ তাকে “সুরমণি” উপাধি দিয়েছেন।তিনি সমগ্র ভারতে এবং অন্যান্য দেশে পারফর্ম করেছেন, বিড়লা একাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার এবং আইটিসি সংগীত সম্মেলন সহ বিভিন্ন কনসার্টে পারফর্ম করছেন।বাংলা ওয়েব সিরিজ ” তানসেনের তানপুরা”তেও অভিনয় করেছেন।
সংগীত পরিবারে জন্ম নেওয়া তুষার দত্ত একদম ছোটবেলায় গান থেকে প্রায় পালিয়েই বেড়াতেন। কিন্তু বাবার চেষ্টায় তিনি গানের জগতে আসেন এবং একসময় আবিষ্কার করেন তিনি গান প্রচণ্ড রকম ভালবাসেন। তার সংগীত জীবনের হাতেখড়ি হয় সন্তোষ চৌধুরী মাস্টারের কাছে। মাত্র দশ বছর বয়সে সংগীত শিক্ষার কারণে ভারতের কলকাতায় চলে আসেন তুষার দত্ত। সেখানে আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমিতে ১৮ বছর শিখেছেন গান। এরপর থেকে নিয়মিতই গানের সাথে আছেন তিনি। তারমতেপ্রতিটিশিল্পীরশাস্ত্রীয়সংগীতশেখাউচিত। এতেকরেকণ্ঠওমস্তিষ্কপরিপক্বহয়। শাস্ত্রীয় সংগীত না জানলে নজরুল সংগীত বা নজরুল গীতি গাওয়াটা কঠিন হয়ে পরে। কারণনজরুলগীতিতেমূলসুররেখেশিল্পীতারস্বকীয়তাদেখাতেপারে। এজন্য তার শিক্ষার্থীদের দুটো ধারারই চর্চা করান। কলকাতাওদুর্গাপুরেদুটিআশ্রমআছেতুষারদত্তেরএবংতারপ্রায়দেড়শতাধিকশিক্ষার্থীআছে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন নজরুলের অজানা অথবা কম পরিচিত সৃষ্টিগুলো সম্পর্কেএবংএগুলোকেনতুনকরেপরিচয়করিয়েদেওয়ারলক্ষ্যে। তিনিশাস্ত্রীয়সংগীতেরপাশাপাশি৪০ও৫০দশকেরকিছুঅত্যন্তজটিলগানরেকর্ডকরতেচানযেগুলোএসময়েরপরকেউইআরগায়নি।
১৯৬০বা ৭০ এর দশকে রেডিও শুনেছেন অথচ সরকার কবির উদ্দিনকে চিনবেন না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। তৎকালীন রেডিও পাকিস্তান করাচি থেকে প্রচারিত বাংলা খবর ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও সিলেট কেন্দ্র থেকে রিলে করা হতো। যাদুকরী কন্ঠের মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়ে সংবাদ পাঠক হিসেবে সবাই মনের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছিলেনতাকে। তিনি ব্রডকাস্ট মিডিয়ার অতি নন্দিত জন তথা বেতারের কিংবদন্তি সংবাদ পাঠক সরকার কবির উদ্দিন। রেডিও পাকিস্তান থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা অতঃপর ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগে সুদীর্ঘ চার দশক কর্মজীবন শেষ করে এখন অবসরে। তিনি ভিওএ বাংলার সাবেক ম্যানেজিং এডিটর।তিনিএকটাসময়ছিলেনবিখ্যাতনায়কও।
সরকার কবিরউদ্দিনের ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের। ছেলেবেলারএইস্বপ্নএকটাসময়পূরণহলেওপরেসেখানথেকেসরেআসেন। কারণমিডিয়াতেমানুষযেভাবেচায়সবসময়সেভাবেনিজেকেপ্রতিষ্ঠাকরতেপারেনা৷ দর্শকশ্রোতারাযেভাবেযেপরিচয়েচায়সেইপরিচয়েইপ্রতিষ্ঠিতহতেহয়। তাকেওদর্শকশ্রোতারাইটিভিওবেতারশিল্পীহিসেবেইপ্রতিষ্টিতকরেছে। এছাড়াওপারিবারিককারণেসিনেমাথেকেসরেআসতেহয়সরকারকবিরউদ্দিনকে।
নিজেঅনেকসাক্ষাৎকারনিলেওযারাতারনিজেরসাক্ষাৎকারনিয়েছেনতাদেরমধ্যেশ্যামলরোধ, কিকথাতাহারসাথেঅনুষ্ঠানেইমদাদুলহকমিলন, তৃতীয় মাত্রায়সাইফুলইসলামএবংআনকাট৫৫মিনিটেমুন্নীসাহারনেওয়াসাক্ষাৎকারতিনিস্মরণেরেখেছেন৷ সবাইকেতিনিঅসম্ভবস্নেহওশ্রদ্ধাকরেন।
আরিফিন শুভ ১৯৮২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ বিভাগীয় জেলার ভালুকা উপজেলায়জন্মগ্রহণ করেন। আংগারগাড়া গ্রামে পৈতৃক নিবাস হলেও তার জন্ম ময়মনসিংহ শহরে।বাবাএসএমশামসুলহকছিলেনবীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কর্মকর্তা, মাছিলেনএকজনছোটচাকুরিজীবী। শুভ’রা দুই ভাই, মাহবুবুল আরিফিন শুভ অর্থাৎআমাদেরআরেফিনশুভছোটএবং বড় ভাই মাহমুদুল খান সজীব।
শুভ২০০৭ সালে প্রথম মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হ্যাঁ-না নাটকে অভিনয়েরমাধ্যমেঅভিনয়জীবনশুরুকরেন। ২০০৮ সালে ইজ ইকুয়াল টু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে তার অবস্থান শক্ত করেন।২০১০ সালে খিজির হায়াত খান পরিচালিত জাগো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। কয়েক বছর বিরতির পর ২০১৩ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয় করেন।এইচলচ্চিত্রগুলোরমাধ্যমেতিনিচলচ্চিত্রযাত্রাশুরুকরেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, অগ্নি, তারকাঁটা, কিস্তিমাত, ছুঁয়ে দিলে মন, মুসাফির, অস্তিত্ব, নিয়তি, ঢাকা অ্যাটাক, আহারে, সাপলুডু, মিশন এক্সট্রিম এর মতো চলচ্চিত্র।
এ সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরেফিন শুভমডেলিংএরমাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৫ সালে। পাশাপাশি ছিলেন জনপ্রিয় একজন আর জে ও ।এরবাইরেতিনিঅসাধারণএকজনগায়কওবটে। বর্তমানেখ্যাতিরচূড়ায়অবস্থানকরছেনবঙ্গবন্ধুরবায়োপিকেস্বয়ংবঙ্গবন্ধুচরিত্রেঅভিনয়েরসুযোগপাওয়ারপর। এরআগেচরিত্রেরখাতিরেসিক্সপ্যাকবানিয়েওতিনিএসেছিলেনআলোচনায়। বঙ্গবন্ধুরবায়োপিকেঅভিনয়েরআগেতিনিকাজকরেনমিশনএক্সট্রিমএ।
আরেফিনশুভকিভাবেবঙ্গবন্ধুসম্পর্কেকিভাবেবিস্তারিতজেনেছেনএসম্পর্কেবলেন, দেখে ,পড়েওশুনেবঙ্গবন্ধুসম্পর্কেবিস্তারিতজেনেছেন। এরঅংশহিসেবে১টেরাবাইটেরবেশিভিডিওফুটেজদেখেছেন, বঙ্গবন্ধুরনিজেরলেখাএবংতাঁকেনিয়েলেখাবইগুলোপড়েছেন। এছাড়াবঙ্গবন্ধুরসেসময়কারসহযোদ্ধাদেরকাছেথেকেওবঙ্গবন্ধুসম্পর্কেজেনেছেনশুভ। মাননীয়প্রধানমন্ত্রীশেখহাসিনানিজেওএইবায়োপিকেরকলাকুশলীদেরডেকেছিলেনএবংপ্রায়সাড়েতিনঘন্টাযাবততিনি বঙ্গবন্ধুকেনিয়েস্মৃতিচারণাকরেন। এইআলোচনারফাকেআরেফিনশুভরএকটিপ্রশ্নেরজবাবেমাননীয়প্রধানমন্ত্রীবলেনস্বয়ংবঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলেও তিনিও এভাবেই নিজেকে বর্ণনা করতেন।
চরিত্রটি থেকে শুভর অর্জন কি হবে এর উত্তরে শুভ বলেন, পুরো সিনেমাটি দেখে এক মুহূর্তের জন্য ও যদি বঙ্গবন্ধুরদুইকন্যাঅর্থাৎমাননীয়প্রধানমন্ত্রীশেখহাসিনাএবংতারবোনশেখরেহানারশুভকেবঙ্গবন্ধুহিসেবেমনেহয়তাহলেইতিনিসফল। এছাড়াওনিজেরমাএরপ্রতিশুভরভালবাসাসম্পর্কেতিনিবলেনসন্তানেরজন্যমাঅনেকসংগ্রামকরেন। আরএজন্যমাএরজন্যনিবেদিতপ্রাণহওয়াপ্রতিটিসন্তানেরদায়িত্ব।